ক্লাব বিশ্বকাপ: ফাইনালের আগে সেমিফাইনালে আলো ছড়াতে পারেন যাঁরা
আর মাত্র তিনটি ম্যাচ—তার পরই জানা যাবে, কার হাতে উঠবে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা। শিরোপার দৌড়ে এখন টিকে আছে চারটি দল: ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স, ইংল্যান্ডের চেলসি, ফ্রান্সের পিএসজি এবং স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ। আজ প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ফ্লুমিনেন্স ও চেলসি, আর কাল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পিএসজি লড়বে রিয়ালের বিপক্ষে।
চার দলের প্রতিটিতে রয়েছেন এমন কিছু খেলোয়াড়, যাঁরা একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। সেমিফাইনালে কারা হতে পারেন সেই ‘নায়ক’, নিচে দেখে নেওয়া যাক:
জন আরিয়াস
কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার জন আরিয়াস ফ্লুমিনেন্সের সাফল্যের পেছনে বড় অবদান রাখছেন। ৫ ম্যাচে ১ গোল ও ১ অ্যাসিস্ট করলেও তার প্রভাব পরিসংখ্যানে বোঝা যায় না। খেলায় ছন্দ তৈরি ও আক্রমণ সাজাতে দারুণ দক্ষ তিনি। কিংবদন্তি কাকা নিজেও তাঁর ভক্ত বলে জানিয়েছেন।
থিয়াগো সিলভা
৪০ বছর বয়সেও ফ্লুমিনেন্স রক্ষণের প্রধান ভরসা। তার নেতৃত্বে দল এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি গোল হজম করেছে। মাঠে কোচের মতো ভূমিকা রাখা সিলভা এবার ক্লাবকে ফাইনালে তুলতে পারলে নিজেই রচনা করবেন ইতিহাস।
চেলসি
পেদ্রো নেতো
চার ম্যাচে তিন গোল করে চেলসির গোলস্কোরারদের শীর্ষে রয়েছেন। এখনো সর্বোচ্চ গোলদাতার দৌড়ে আছেন। প্রতিযোগিতায় তাঁর ধারাবাহিকতা দলের জন্য বড় আশার জায়গা।
কোল পালমার
মধ্যমাঠে পজিশন বদল করে এখন আরও কার্যকর হয়েছেন এই ইংলিশ তারকা। শেষ ষোলোতে গোল পেয়েছেন, সেমিফাইনালেও ফ্লুমিনেন্সের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারেন।
পিএসজি
উসমান দেম্বেলে
চোটের কারণে পুরো টুর্নামেন্টে বেশি সময় মাঠে না থাকলেও, বায়ার্নের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ গোল করে নজর কাড়েন। ফর্মে ফিরলে রিয়ালের বিপক্ষে বড় পার্থক্য গড়তে পারেন।
খিচা কাভারাস্কেইয়া
‘কাভারাডোনা’ নামে পরিচিত এই উইঙ্গার এখন পর্যন্ত ১ গোল ও ২ অ্যাসিস্ট করেছেন। দেম্বেলের অনুপস্থিতিতে আক্রমণের মূল ভরসা হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
রিয়াল মাদ্রিদ
গনসালো গার্সিয়া
৫ ম্যাচে ৪ গোল ও ১ অ্যাসিস্ট করে ক্লাব বিশ্বকাপের অন্যতম আবিষ্কার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। সর্বোচ্চ গোলদাতা ও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়েও আছেন।
কিলিয়ান এমবাপ্পে
পুরোপুরি ফিট না হলেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গোল করে প্রমাণ দিয়েছেন তিনি এখনো বড় মঞ্চের বড় খেলোয়াড়। পিএসজির বিপক্ষে ম্যাচে রিয়ালের ভাগ্য বদলাতে হলে এমবাপ্পেকেই জ্বলে উঠতে হবে।
শেষ কথা
ফাইনালের আগে বাকি দুই সেমিফাইনাল ম্যাচেই চোখ থাকবে এই ‘ম্যাচ উইনার’ তারকাদের ওপর। কারা পারবেন নিজেদের জাত চেনাতে, আর কারা গড়বেন নতুন ইতিহাস—সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।