শুল্ক আয়ে রেকর্ড যুক্তরাষ্ট্রে, ট্রাম্পের নীতিতে বাড়ছে আয়

চলতি ২০২৫ পঞ্জিকা বর্ষে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার বা ১০ হাজার কোটি ডলার শুল্ক আয় করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির প্রভাবে বছরের শেষে এই আয় ৩০০ বিলিয়ন ডলার বা ৩০ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে স্কট বেসেন্ট জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্কনীতি কার্যকর হওয়ার পর, অর্থাৎ ২ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং ৯ এপ্রিল থেকে ১০ শতাংশ ন্যূনতম অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের মধ্য দিয়ে শুল্ক থেকে বড় আয়ের শুরু হয়। এরপর থেকেই বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও গাড়িতে শুল্ক আরোপ করা হয়।
বেসেন্ট বলেন, ‘‘এভাবে চলতে থাকলে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ শুল্ক থেকে সরকারের রাজস্ব **৩০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।’’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, কংগ্রেশনাল বাজেট অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ১০ বছরে শুল্ক আয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ২.৮ ট্রিলিয়ন ডলার বা ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলার। তবে তিনি মনে করেন, এটি একটি রক্ষণশীল অনুমান, বাস্তবে আয় আরও বেশি হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ জানায়, ২০২৫ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে মোট শুল্ক আদায় হয়েছে ৮৬.১ বিলিয়ন ডলার, আর ২০২৫ পঞ্জিকা বর্ষের প্রথম ৫ মাসে আদায় হয়েছে ৬৩.৪ বিলিয়ন ডলার। শুধু মে মাসেই আদায় হয়েছে ২২.৮ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের মে মাসের তুলনায় প্রায় চার গুণ (তখন ছিল ৬.২ বিলিয়ন ডলার)।
আগামী শুক্রবার প্রকাশিত হবে জুন মাসের বাজেট। ধারণা করা হচ্ছে, এতে শুল্ক আয়ের প্রবৃদ্ধির আরও বিস্তারিত তথ্য থাকবে। জুন শেষে অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শুল্ক ও আবগারি শুল্ক মিলিয়ে মোট আদায় হয়েছে ১২২ বিলিয়ন ডলার।
বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, তামার ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে আবাসন, যানবাহন, ইলেকট্রনিকস, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও সামরিক সরঞ্জামে বহুল ব্যবহৃত একটি ধাতু। এছাড়া তিনি জানান, সেমিকন্ডাক্টর ও ওষুধের ওপরও শিগগিরই অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে।
এই শুল্কনীতির লক্ষ্য হলো আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়া এবং রাজস্ব আয় বাড়ানো।