মুরাদনগরে নারীর ওপর নির্যাতন ও ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় শাহ পরান কারাগারে
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শাহ পরানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে তাঁকে আদালতে হাজির করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শাহ পরান ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ফজর আলীর ছোট ভাই। র্যাব সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার বুড়িচং এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শুক্রবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানায় র্যাব। সন্ধ্যায় তাঁকে মুরাদনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রুহুল আমীন জানান, শাহ পরানকে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি আইনের আওতায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। রবিবার তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।
এ ঘটনায় ২৯ জুন দায়ের করা মামলায় প্রথমে চারজন—মোহাম্মদ আলী ওরফে সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিক—কে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। শনিবার তাঁদের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলী বর্তমানে কুমিল্লা পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয়দের মারধরে তাঁর হাত-পা ভেঙে যায়। চিকিৎসা শেষে তাঁকেও আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাঁরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।