এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় শূন্য পাস ১৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, ফলাফল সর্বনিম্নের দিকে

 ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এক মতবিনিময় সভায় ফলাফলের তথ্য তুলে ধরছেন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান খন্দোকার এহসানুল কবির।

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দেশের ১৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। গত বছরের তুলনায় এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে; ২০২৪ সালে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১টি।

আজ বৃহস্পতিবার দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার আনুষ্ঠানিক কোনো ফল প্রকাশ অনুষ্ঠান না থাকলেও বোর্ডগুলো পৃথকভাবে ফল প্রকাশ করে। আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির সাংবাদিকদের সামনে ফলাফলের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন।

চলতি বছর মোট ৩০ হাজার ৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়। তবে ফলাফল গত কয়েক বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৬৮.৪৫ শতাংশ, যেখানে গত বছর ছিল ৮৩.০৪ শতাংশ। একইভাবে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে এসেছে; এ বছর ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে, যা গতবার ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন।

শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকদের মতে, ফলাফলের এই অবনতির পেছনে পাঠদানের মান, কোচিং নির্ভরতা, করোনা পরবর্তী শিক্ষাগত ক্ষতি এবং মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

Next Post Previous Post