টঙ্গীতে ঝুট ব্যবসা কেন্দ্রিক সংঘর্ষে মহাসড়কে অস্থিরতা, আহত অন্তত ১০
গাজীপুরের টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকায় ঝুট ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বিএনপি এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক কয়েক ঘণ্টার জন্য অস্থির হয়ে ওঠে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ এবং রাস্তায় সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে পথচারীও রয়েছেন।
শনিবার (২৮ জুন) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে ২টা পর্যন্ত গাজীপুরা এলাকার স্যাটার্ন গার্মেন্টসের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সহিংসতার সময় আতঙ্কে মহাসড়কে যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, স্যাটার্ন গার্মেন্টস লিমিটেডের ঝুট ব্যবসা নিয়ে পুরনো দ্বন্দ্বের জেরে গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মোল্লা এবং টঙ্গীর ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী হুমায়ুন কবিরের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, ফলে মহাসড়ক ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এবং যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
সংঘর্ষে আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তবে তাদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উল্লেখ্য, এর আগেও ২৩ মে একই প্রতিষ্ঠানের ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় দুই পুলিশ সদস্যসহ আটজন আহত হন এবং পুলিশ পরে দুইজনকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা কাজী হুমায়ুন কবির যুগান্তরকে বলেন, “আমার প্রতিষ্ঠানের নামে বৈধ চুক্তিপত্র রয়েছে। এখন হালিম মোল্লা জোরপূর্বক ব্যবসা দখলের উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে।”
এ বিষয়ে হালিম মোল্লার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ব্যক্তিগত সহকারী জানিয়েছেন, হালিম মোল্লা এসব ঘটনায় জড়িত নন এবং তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, “পূর্ব বিরোধের জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আহত বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করা হচ্ছে।”