উজ্জ্বল শুরু, ব্যর্থ সমাপ্তি—রানে ফিরলেন না এনামুল
আগের তিন ইনিংসে এনামুল হক বিজয়ের রানসংখ্যা ছিল হতাশাজনক—মোটে ৪ রান, যার মধ্যে দুই ইনিংসে রানের খাতাই খুলতে পারেননি। তবে কলম্বো টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে সেই ধারা ভাঙার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। শুরুটা ছিল আত্মবিশ্বাসী ও আগ্রাসী, মনে হচ্ছিল ব্যর্থতার গ্লানি পেছনে ফেলে এবার নিজেকে মেলে ধরতে যাচ্ছেন বিজয়। কিন্তু ঠিক তখনই ঘটল অ্যান্টি ক্লাইম্যাক্স—দুর্ভাগ্যজনক এক শটে থেমে গেল তাঁর ইনিংস।
গল টেস্টে এনামুল ছিলেন রীতিমতো খোলসে ঢোকা একজন ব্যাটার। প্রথম ইনিংসে ১০ বল খেলে ০, দ্বিতীয় ইনিংসে ২০ বলে করেছিলেন মাত্র ৪ রান। কলম্বো টেস্টের প্রথম ইনিংসে আরও বিবর্ণ চিত্র—একবার জীবন পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি, শেষ পর্যন্ত আসিথা ফার্নান্দোর বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন শূন্য রানেই।
তবে দ্বিতীয় ইনিংসে বদলে গিয়েছিল তার ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ। শুরু থেকেই বলের পেছনে পা বাড়িয়ে ফুলার লেন্থের ডেলিভারি বানিয়ে খেলছিলেন। ডাউন দ্য উইকেটে এসে দুই পেসার, বিশ্ব ও আসিথা ফার্নান্দোকে দুটি চার ও একটি দৃষ্টিনন্দন ছক্কা মেরে জানান দিচ্ছিলেন, ফিরে এসেছেন আত্মবিশ্বাসে। ব্যাটে-বলে সংযোগ ছিল ধারালো, মানসিকতায় ছিল ইতিবাচকতা।
কিন্তু সেই আগ্রাসী মনোভাবই যেন কাল হয়ে দাঁড়াল। আসিথার একটি শর্ট বল পুল করতে গিয়ে টাইমিং মিস করলেন এনামুল। ব্যাটের আগায় লেগে বল উঠে গেল আকাশে। ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে দাঁড়ানো বদলি ফিল্ডার পবন রত্নায়েক নিলেন সহজ ক্যাচ। বিজয়ের ইনিংস শেষ হলো ১৮ বলে ১৯ রানে।
তবে এই ঝোড়ো ইনিংসেই বাংলাদেশ পেয়েছে কিছুটা স্বস্তি। ওপেনিং জুটিতে এসেছে ৩১ রান—যেখানে আগের তিন ইনিংসে যথাক্রমে ছিল ৫, ২৪ ও ৫ রান। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে এই জুটি অন্তত একটি ইতিবাচক সূচনা এনে দিয়েছে।
অন্য প্রান্তে সাদমান ইসলামও ছিলেন সাবলীল। ২২ বলে ১২ রান করে তিনিও দেখিয়েছেন ইতিবাচক মানসিকতা। তবে বিজয়ের বিদায়ের পরই ডাকা হয় চা-বিরতি। বাংলাদেশ তখন স্কোরবোর্ডে ১ উইকেটে ৩১ রান তুলে রেখেছে, এখনো পিছিয়ে আছে ১৮০ রানে।