ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার হুসনাবাদ পশ্চিমপাড়া গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। শুক্রবার (২৭ জুন) রাত ১১টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিয়ে বন্ধ করেন তিনি। এ সময় বাল্যবিয়ের অভিযোগে বর ও কনে পক্ষকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
জানা গেছে, উপজেলার কামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ পশ্চিমপাড়া গ্রামের মহোরম আলীর ছেলে রাকিবুল হাসান (২০)–এর সঙ্গে একই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে আয়েশা হালিমা (১২)-র বিয়ের আয়োজন চলছিল। আয়েশা স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
খবর পেয়ে ইউএনও আশিক খান তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করেন। এ সময় তিনি বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। বরকে ৭(১) ধারা অনুযায়ী ১৫ দিনের কারাদণ্ড এবং ৮ ধারায় বর ও কনে পক্ষকে মোট ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এ ছাড়া ইউএনও কনের পরিবারকে মেয়েটির শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন এবং বিষয়টি তদারকির জন্য স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন।
প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপে মেয়েটির ভবিষ্যৎ আপাতত নিরাপদ থাকলেও, এলাকায় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সচেতনতা ও নজরদারির প্রয়োজনীয়তা আবারও স্পষ্ট হলো।
