তরুণদের চোখে আগামী নির্বাচন: কোন দলের কত ভাগ ভোট?

 


আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন দল সবচেয়ে বেশি ভোট পেতে পারে—এ বিষয়ে তরুণদের ওপর পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩৮.৭৬ শতাংশ তরুণ মনে করেন বিএনপি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে। এরপর জামায়াতে ইসলামী ২১.৪৫ শতাংশ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ১৫.৮৪ শতাংশ ভোট পাবে বলে মত দিয়েছেন তাঁরা। বর্তমানে নিষিদ্ধ অবস্থায় থাকা আওয়ামী লীগ ভোটে অংশ নিলে তাদের প্রাপ্ত ভোট হবে ১৫.৮৪ শতাংশ, জানিয়েছে জরিপে অংশগ্রহণকারীরা।

তরুণদের মতে, অন্যান্য ইসলামিক দল পেতে পারে ৪.৫৯ শতাংশ ভোট।

জরিপে অংশ নেওয়া ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী দুই হাজার তরুণ-তরুণীর মধ্যে ৭৬.৭৮ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে চান। ভোট দেবেন না ৪.১৪ শতাংশ, সিদ্ধান্ত নেননি ৫.৯ শতাংশ এবং ১৩.৯৮ শতাংশ এখনো ভোটার নন।

জরিপটি পরিচালনা করেছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ। সময়কাল: ২০ থেকে ৩১ মে ২০২৫। দেশের আটটি বিভাগের ১৬টি জেলা এবং ৩২টি উপজেলার তরুণদের মধ্য থেকে অংশগ্রহণকারীদের বাছাই করা হয়।

সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান জানান, এই জরিপ কেবল তরুণদের মতামত তুলে ধরেছে। দেশের মোট জনমতের প্রতিফলন নয়, বিশেষ করে রাজনীতির মতো সংবেদনশীল বিষয়ের ক্ষেত্রে তা বোঝা জরুরি।

জরিপে আরও উঠে এসেছে—

  • ৮৭.৪ শতাংশ তরুণ রাজনীতির তথ্য পান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে।

  • ৪২ শতাংশ তরুণ মনে করেন, তরুণ নেতৃত্ব রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।

  • ৬০ শতাংশ তরুণ চান, রাজনৈতিক দলগুলো পৃষ্ঠপোষকতা, স্বজনপ্রীতি ও সহিংসতা বন্ধে পদক্ষেপ নিক।

  • ৫১.৭৭ শতাংশ তরুণ মনে করেন ধর্মভিত্তিক রাজনীতি উন্নয়নের জন্য সহায়ক; ৪৮.২৩ শতাংশ এর বিপক্ষে।

ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় আসতে পারে কি না—এই প্রশ্নে:

  • ৩৯ শতাংশ বলেছেন, নিশ্চিত নন।

  • ২২.৫ শতাংশ বলেছেন, কখনোই না।

  • ১১ শতাংশের মতে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই তারা ক্ষমতায় আসতে পারে।

জরিপের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, সানেম ও অ্যাকশনএইডের প্রতিনিধিরা, এবং বিভিন্ন তরুণ সংগঠনের সদস্যরা।

Next Post Previous Post