টেন্ডার পাওয়া ছাত্র আন্দোলনের নেতার কাছে জিলাপি খেতে চাইলেন ওসি
কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় এক ছাত্রনেতা ও ঠিকাদারের কাছে ‘জিলাপি খাওয়ার’ আবদার জানিয়েছেন।
সোমবার ওই ঘটনার একটি ফোনালাপ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
ফোনালাপে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সংগঠক ও ঠিকাদার আফজাল হুসাইন শান্তর সঙ্গে কথা বলেন ওসি মো. মনোয়ার হোসেন।
সেখানে ওসিকে বলতে শোনা যায়, “সারাজীবন সেফটি সিকিউরিটি দিলাম, ১৮ লাখ টাকার কাজ করে ১০ লাখ লাভ করলে ১০ টাকার জিলাপিও খাওয়ালে না! আমি হলে তো সুদের টাকায়ও আগে জিলাপি খাওয়াইতাম, দোয়া হইল সবার আগে।”
একপর্যায়ে তিনি বলেন, “ঠিক আছে, তাহলে জিলাপির অপেক্ষায় রইলাম। এক প্যাঁচ দিলেই চলবে। পাবলিক খাইলে সমস্যা কী?”
জবাবে ঠিকাদার শান্ত বলেন, “বিল পাই, তারপর একটা অ্যামাউন্ট দেখা যাবে।” ওসি বলেন, “ঠিক আছে।”
শান্ত জানান, তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পেয়েছেন নিয়ম মেনে টেন্ডারের মাধ্যমে। কাজ শেষে থানায় গেলে ওসি একাধিকবার ‘জিলাপি খাওয়ার’ জন্য বলেন।
তিনি বলেন, “সরকারি কাজে লাভ হয়েছে বলেই কেউ যদি খাওয়ার দাবি করে, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?”
এ বিষয়ে ছাত্র আন্দোলনের কিশোরগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন, “আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।”
এদিকে, ওসি মনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি ‘হাস্যরসের ছলে’ কথাটি বলেছেন।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী জানান, “বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
