দোহারের মিনিকক্সবাজারে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভির



মিনিকক্সবাজার নামে খ্যাত ঢাকার দোহারের মৈনট ঘাটে  দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভির। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন সকাল থেকেই মৈনটঘাটে ভির করছেন দর্শনার্থীরা। ঈদের ছুটিতে যানজট ও কোলাহল মুক্ত স্থান হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানের ভ্রমণ পিয়াসী দর্শনার্থীরা এখানে ছুঁটে এসেছেন। যার ফলে  প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লীলা ভূমি  মিনি কক্সবাজার এখন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখোর হয়ে উঠছে। ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন থেকেই মিনি কক্সবাজারে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।


সাপ্তাহিক ছুটির দিন গুলোতে নিয়মিত পর্যটকদের ভির  থাকলেও ঈদ উপলক্ষে ভিন্ন আমেজ দেখা গেছে। ঈদের বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে মিনি কক্সবাজারকেই বেছে নিয়েছে দোহার ও এর আশেপাশের উপজেলার দর্শনার্থীরা। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে ঘুরতে এসেছে পর্যটকরা। কেউবা পরিবার পরিজন, আবার কেউ প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে বিনোদনের জন্য এসেছে মিনিকক্সবাজারে । যা পুরো মিনি কক্সবাজার এালাকা সৌন্দর্যময় করে তুলেছে।

যেখানে পর্যটকরা স্পিডবোড, নৌকা ভ্রমণ, ঘোড়ার গাড়িতে ভ্রমণ, কেউবা পদ্মার পানিতে গোসল করেও তৃপ্তি মেটাচ্ছে। আবার কেউ প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে ছবি তুলেও আনন্দ উপভোগ করছে। শিশুদেরকে জন্য রয়েছে নৌকা, নাগরদোলা সহ নানান ধরনের খেলনার ব্যবস্থা। যা শিশুদের কে আনন্দ উপভোগ করাতে ব্যাস্ত থাকে। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বাংলা খাবারের রেস্টুরেন্ট, চাইনিজ, ও চটপটি ও ফোচকা হাউজ। যা ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের বিনোদনের পাশাপাশি খাবারের চাহিদা ও মেটাচ্ছে ।


মৈনটঘাটে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী রাজু আহমেদ জানান” মিনিকক্সবাজার আমাদের দোহারের ঐতিহ্য। মিনি কক্সবাজার আমার খুব ভালো লাগছে। এখানকার পরিবেশটা খুব সুন্দর মনে হচ্ছে। আরেক দর্শনার্থী জানান, মৈনটে ঘুরতে এশে খুব ভালো লাগছে। এখানকার পদ্মার প্রাকৃতিক পরিবেশ আমাদের মুগ্ধ করেছে।” সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা দলে দলে আসতে শুরু করেছে। বিকালের দিকে মানুষের ঢল নামে। বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতেই কানায় কানায় ভরে যায় মৈনটঘাট এলাকা।


দর্শনার্থীদের চাপ  জট সামলাতে দায়িত্বে থাকা মাহমুদপুর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের হিমশিম খেতে হয়। আরেক দর্শনার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, “এখানে পরিবারের সবাইকে এক সঙ্গে নিয়ে বেড়ানো  খুবই আনন্দের। তিনি আরো বলেন, গতবারের তুলনায় এবার ভির বেশী তারপর ভালো লাগছে মুক্ত পরিবেশে  সবাইকে নিয়ে সময় কাটাতে। মিনিকক্সবাজার দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠুক, দর্শনার্থীতে ভরে উঠুক মিনিকক্সবাজার এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

Next Post Previous Post